বাদাম খেয়ে কমান ক্যান্সারের ঝুঁকি !!
আমরা সবাই জানি যে খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী। বিভিন্ন ধরণের বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা যায় যে, বাদাম খেলে বেশিরভাগ মানুষের কয়েক ধরণের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। নিয়মিত বাদাম খেলে কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি চমৎকার ভাবে কমে।
বাদামে নির্দিষ্ট কিছু ফ্যাট থাকে যা শরীরের জন্য
অত্যন্ত ভালো। যেখানে অন্য খাবারের ফ্যাট নিম্নমাত্রায় গ্রহণের কথা বলা হয়
সেখানে বাদামে যে ফ্যাট থাকে তা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই
ধরণের ফ্যাট বিভিন্ন প্রকারের রোগ বিশেষ করে শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই ধরণের রোগ কম হলে শরীর সুস্থ থাকে এবং
ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমে। যদিও ক্যান্সারের সিঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি
কিন্তু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এমন অনেক কারণের কথাই আমরা জানি।
যারা বাদাম খান তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি
অটোম্যাটিকভাবেই কমে বা ক্যান্সার থেকে নিরাময় লাভ করে। যেহেতু বিভিন্ন
কারণে ক্যান্সার হতে পারে, তবে বাদাম শুধু সামান্য কিছু কারণের ঝুঁকি কমাতে
পারে। এ কারণেই বাদাম নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেই সাহায্য
করে। বিশেষ করে শ্বসনতন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এমন ক্যান্সারের
উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে যে,
দিনে কয়বার, কয়টি করে এবং কি ধরণের বাদাম আপনাকে খেতে হবে ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমানোর জন্য? প্রথমত ক্যান্সারের ঝুঁকির ক্ষেত্রে পার্থক্য সৃষ্টির
জন্য আপনাকে বাদাম খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। গবেষণায় জানা যায় যে,
বাদামের পরিপূর্ণ কার্যকারিতা পাওয়ার জন্য আপনাকে দৈনিক ১৫ গ্রাম বাদাম
গ্রহণ করতে হবে। তাই প্রতিদিন একমুঠো বাদাম খেতে পারেন। বাদামের সাথে অন্য
কোন উপাদান ব্যবহার করলে এর প্রভাব ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই সল্টেড,
রোস্টেড, হানি রোস্টেড ও অন্য যেকোন ধরণের বাদামের চেয়ে প্লেইন ও ন্যাচারাল
বাদাম খাওয়াই সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা প্রদর্শন করে। তবে এই বিষয়ে আরো
গবেষণার প্রয়োজন আছে।
আপনার জানা উচিৎ শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু বাদাম
থেকেই এই ধরণের চমৎকার উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। তারা হচ্ছে চিনাবাদাম ও বৃক্ষ
বাদাম (আখরোট)। অন্য বাদামে ভিন্ন রকমের তেল বা ফ্যাট থাকে। পিনাট বাটার
ক্যান্সারের ঝুঁকির ক্ষেত্রে তেমন কোন পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারেনা। কারণ
পিনাট বাটারে খারাপ ক্ষতিকর উপাদানের পাশাপাশি উপকারী উপাদান ও থাকে,
ক্ষতিকর উপাদান ভালো উপাদানের সাথে ভারসাম্য সৃষ্টি করে ফলে ক্যান্সারের
ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে শুন্য প্রভাব ফেলে।
যদি বাদাম খেয়ে সর্বোচ্চ উপকারিতা পেতে চান তাহলে
আপনাকে নিয়মিত বাদাম খেতে হবে এবং আপনার ব্যালেন্স ডায়েটের অংশ করে নিতে
হবে বাদামকে। আপনার যদি মারাত্মক ধরণের কোন স্বাস্থ্যসমস্যা থেকে থাকে
তাহলে যেকোন ধরণের ডায়েট শুরু করার পূর্বে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া
অত্যন্ত জরুরী। বাদামের বহুমুখী উপকারিতা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই আবিস্কার একে আরো বেশি অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে। যদি এখনো
নিয়মিত বাদাম খাওয়া আপনার অভ্যাসে পরিণত না হয়ে থাকে তাহলে সময় এসেছে এই
অভ্যাসটি রপ্ত করার।.
– সময়ের কণ্ঠস্বর
0 comments:
Post a Comment