advertisement

Friday, July 15, 2016

যেভাবে সন্তান জন্মদানের পর বিষণ্ণতা কাটাবেন |

যেভাবে সন্তান জন্মদানের পর বিষণ্ণতা কাটাবেন |

 প্রায় নয় মাস কষ্ট করার পর একজন নারী সন্তান জন্ম দেন। আর সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অনেকেরই বিষণ্ণতায় ভোগার সমস্যা হয়। এটি শুরু হয় শিশুজন্মের পর থেকেই। নতুন মায়ের জন্য সময়টি বেশ কঠিন। সমস্যাটি সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে ছয় মাস পর্যন্ত  চলতে থাকে। একে অনেকে ব্লুবেবি পিরিয়ডও বলে।

মেজাজ খিটমিটে হওয়া, অসহায় বোধ করা, অল্পতেই ধৈর্যহারা হয়ে পড়া, উদ্বেগ, ঘুমের অসুবিধা, শক্তি কমে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি এই সময়ে বিষণ্ণতার লক্ষণ। এই সময়টায় পরিবারের লোকজনের সহানুভূতি ও যত্নের প্রয়োজন।
কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে বিষণ্ণতা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসা সম্ভব। নয়তো এটি দীর্ঘমেয়াদি বিষণ্ণতায় পরিণত হতে পারে। জীবনযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ে প্রকাশ হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
সন্তান জন্মদানের পর স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। এ সময় কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খান এবং মুড ভালো রাখতে সাহায্য করবে এমন খাবার খান। যেমন : কলা, রুটি ও গম দিয়ে তৈরি খাবার খান। ডার্ক চকলেট খাওয়া এই সময় মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করবে।
ব্যায়াম করুন, ফিট থাকুন
সার্জারির ধকল বা স্বাভাবিক ডেলিভারির ধকল কমে যাওয়ার পর একটু ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে বাচ্চাকে নিয়ে একটু হাঁটতে বের হন। কী ধরনের ব্যায়াম এ সময় ভালো হবে সেই বিষয়ে ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
এ ছাড়া শিশুর সঙ্গে খেলতে পারেন, এটিও মন ভালো করতে কাজে দেবে।
বন্ধুদের সাথে কথা বলুন
কাছের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। নিজের সমস্যার কথা তাদের জানান। কেবলমাত্রা শিশুকে নিয়েই ব্যস্ত না থেকে সামাজিক যোগাযোগও বাড়ান। শিশুর যত্নের পাশাপাশি নিজের পছন্দের কাজগুলো করার জন্য সময় বেছে নিন।
বিশ্রাম নিন
এ সময় অনেকের ঘুম কম হয়। এতে উদ্বেগ আরো বেড়ে যায়; শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান। যদিও বিষয়টি কঠিন শিশু হওয়ার পরে। তবুও চেষ্টা করুন কিছুটা হলেও বিশ্রাম নিতে।
ইতিবাচক চিন্তা করুন
সব ধরনের বিষণ্ণতা দূর করতে ইতিবাচক চিন্তা সাহায্য করে। ইতিবাচক চিন্তা করে দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। আর দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো জীবনকে বদলাতে সাহায্য করবে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থাকুন। তাদের সাহায্য করতে বলুন।

0 comments:

Post a Comment