লিভার / যকৃৎ এর বিভিন্ন রোগ, লক্ষন, এবং সঠিক পরামর্শ !!
জন্মগত কিছু ত্রুটি, লিভার প্রদাহ বা হেপাটাইটিস হওয়া সহ নানাবিধকারনে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
যেহেতু জন্ডিস রোগের কারণ অনেকগুলো তাই কারণ নির্ণয় ও রোগের অবস্থা জানার জন্য রোগীকে অনেকগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। এর মধ্যে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা ও ধরণ, লিভার এনজাইম, ভাইরাল মার্কার, প্রথমবিন টাইম থেকে শুরু করে আলট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বায়োপসি বা কোলাঞ্জিওগ্রাম ও করা লাগতে পারে। এতোক্ষনে নিশ্চয়ই পাঠকের বোঝা হয়ে গেছে যে সব ধরনের জন্ডিস এর চিকিৎসা এক হবেনা, ঠিক তাই। ঠিক যে কারনে জন্ডিস হয়েছে তা নির্ণয় করে সেই কারনটির চিকিৎসা করাই হলো জন্ডিস চিকিৎসার মূল লক্ষ্য।
তাই নিজে নিজে বেশী করে পানি খাওয়া, আখের রস খাওয়া বা রোদে না গিয়ে বিশ্রাম নেয়া ইত্যাদি জাতীয় চিকিৎসা না নিয়ে সকলের উচিত চিকিৎসকের কাছ থেকে এ রোগের সঠিক কারণ ও প্রতিকার জেনে নেয়া। জন্ডিস এর অন্যতম কারন হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘বি’ এর টিকা নিয়ে এ রোগের হাত থেকে অতি সহজেই বাঁচা যায়, তাই চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া উচিত আপনি এই টিকা নিতে পারবেন কিনা।
তবে যেকোন প্রকার লিভার সমস্যায় অভিজ্ঞ কোন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রপার ট্রিটমেন্ট নিন। কারণ লিভার সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যায় সবচেয়ে বেশি কার্যকরী চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি।
0 comments:
Post a Comment